সোহেল রানা রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার, এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম বারের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সনাতন চক্রবর্তীর সার্বিক তত্বাবধানে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার,গোদাগাড়ী সার্কেল, আসাদুজ্জামান ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ, কামরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত ডাকাত আব্দুস সাত্তার কে আটক করেছে তানোর থানার চৌকস পুলিশ টিমের সদস্য রা,।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে ০৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা গ্রামে ডাকাত সাত্তারের মেয়ে নার্গিস আক্তারের বসত বাড়ীতে রাত্রি অনুমান০২.৩৫ টায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ (দশ) বৎসরের সশ্রম সাজা প্রাপ্ত আসামী তানোর থানাধীন ১নং কলমা ইউনিয়নের কূখ্যাত ডাকাত আব্দুস ছাত্তার, পিতা-মোঃ গরিবুল্লাহ, সাং-কিসমত বিল্লী, থানা-তানোর, জেলা-রাজশাহীকে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার
করেন তানোর থানার চৌকস পুলিশ টিম।
উল্লেখ্য যে, ডাকাতির ঘটনা সংগঠনের জন্য উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে তানোর থানার মামলা নং-৮, ০৯/০৩/১৯৯৯ ইং ধারা-৩৯৯/৪০২ রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত করিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত, রাজশাহী সাক্ষ্য-প্রমান শেষে উক্ত আসামী মোঃ আব্দুস ছাত্তার এর বিরুদ্ধে দন্ড বিধি ৩৯৯ ধারার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় উক্ত ধারার অধিনে বর্ণিত আসামীকে ১০ (দশ) বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড সহ ১,০০০/-টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উক্ত আসামী মামলা হওয়ার পর এলাকা হইতে ভারতের মুর্শিদাবাদে আত্মগোপন করে থাকে। দীর্ঘ ২০ বছর ভারতে থাকার পরে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনের নির্দেশনায় তানোর থানার চৌকস পুলিশ টিম কাজ শুরু করে এবং অবশেষে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে বর্ণিত স্থান হইতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয় তানোর থানার পুলিশ টি।
উক্ত আসামী ভারতে লেবারের কাজ করিত। মাঝে মধ্যেই মেয়ের বাড়ীতে আসতো।
গ্রেফতারকৃত আসামী ডাকাত আব্দুস সাত্তার কে ০৭ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হইয়াছে।
Leave a Reply