সোহেল রানা রাজশাহী প্রতিনিধি
১৯৯৫ সালে হওয়া স্ত্রী হত্যা মামলার যাবৎ জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী নজরুল ইসলাম ২৭ বছর পর আটক হলো তানোর থানার এক দল চৌকস পুলিশ টিমের হাতে।
রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার, এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম বারের দিক নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সনাতন চক্রবর্তী ক্রাইম & অপসের সার্বিক তত্বাবধানে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, গোদাগাড়ী সার্কেল,আসাদুজ্জামান ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ, কামরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে ৩০ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল হইতে ভোর রাত্রি অনুমান ৩.০০ঘটিকার সময় যাবৎজীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতা-মৃত ভন্ডু মন্ডল, সাং-ছাঐড়, থানা-তানোরকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, স্ত্রী হত্যার দায়ে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে তানোর থানার মামলা নং-১৬,তারিখ ২৭/০৫/১৯৯৫ ইং ধারা-৩০২ রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত করিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত, রাজশাহী সাক্ষ্য-প্রমান শেষে উক্ত আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দন্ড বিধি ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় উক্ত ধারার অধিনে বর্ণিত আসামীকে যাবৎ জীবন কারাদন্ড সহ ৫,০০০/-টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উক্ত আসামী মামলা হওয়ার পর এলাকা হইতে নিরুদ্দেশ হইয়া যায়। দীর্ঘ ২৭ বছর নিরুদ্দেশ থাকার পরে মাননীয় পুলিশ সুপার রাজশাহী মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় তানোর থানার চৌকস পুলিশ টিম কাজ শুরু করে এবং অবশেষে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে অদ্য ইং ৩০ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল হইতে বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত আসামী এতদিন ছদ্দবেশী নাম ছিলো আঃ আজিজ, পিতা-মশির মন্ডল, সাং- সুন্দরপুর, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইত্যাদি ঠিকানা ব্যবহার করিয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড তৈরি করে ২য় বিবাহ করিয়া সেখানে বসবাস করতো। আসামী ঢাকায় লেবারের কাজ করে। মাঝে মধ্যেই বাড়ী আসে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ইং ৩০ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply