স্টাফ রিপোর্টার।
উর্ব্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা,বে-আইনি ভাবে ভূমি অফিসে পরিবারসহ বসবাস,নথিসহ টাকা বুঝে দিতে হয় সার্ভেয়ারের টেবিলে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনিয়ম, দূর্ণীতি ও কর্মকর্তার নির্দেশনা মানতে নারাজ তহসিলদার প্রফুল্ল কুমার বসু। গত ০৪/০৬/২০২০ তারিখে উপজেলার সাবেক নিবার্হী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাব্বির আহম্মেদ অবৈধ স্থাপনা বা সরকারী ভূমি দখল কারীর একটি অভিযান করে। এসময় সরকারী খা্লের উপর পাকা বাড়ী বা দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন তহসিলদার প্রফুল্ল কুমার বসুকে।
দুই বছর পর মামলার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তহসিলদার মামলা করেনি বলে প্রতিবেদককে জানান।
স্থানীয় সূত্র মতে- টাকার বিনিময়ে সার্ভেয়ারের যোগ সাজসে খাল দক্ষলদারদের দক্ষলে রাখার সহয়তা করেন তিনি।উর্বধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ দেওয়ার সময় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারী বৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক বৃন্দ ও স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।
এবার আশাযাক মাহমুদপুর ভূমি অফিসের দিকে,কি হচ্ছে সেখানে! তহসিলদার প্রফুল্ল কুমার বসু নিজের বাড়ী বানিয়ে ফেলেছেন সরকারী অফিসকে। দীর্ঘদিন ধরে এত্র অফিসে স্ব- পরিবার বসবাস করছেন।
ভিতরে ঢুকলেই বুঝা যায় এটা অফিস কম বাসাবেশী?
অফিস সহকারীর রুমে বসেই নিজের ঘরের মত লুঙ্গী- স্যান্ডো গেন্জি পরেই গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।এবার প্রসঙ্গ নামজারী: তহসিলদার প্রফুল্ল কুমার বসু এক নীতিতে বিশ্বাসী “টাকা নাই নামজারীর প্রতিবেদন পক্ষে নাই”। জমির কাগজপত্র হাজার সঠিক থাকলেও টাকা না দিলে আবেদনকারীর পক্ষে প্রতিবেদন দেন না প্রফুল্ল রায়।
কাশিয়ানী সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রুহুল আমিন ঘুষ দূর্নীতিকে শিল্পে পরিনত করেছে। এই ঘুষ শিল্পীর দর্শন হচ্ছে নো মানি নো নথি ফলে অফিস কাম কম্পউটার অপারেটর উৎপল বিশ্বাস তার টেবিলে এক বান্ডিল নথির সাথে এক বান্ডিল ঘুষের টাকা উপস্থাপন করেন।
সার্ভেয়ারের রুহুল আমিনের কাছে মাহমুদ পুর সাতাশিয়া খালের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে কি-না জানতে চাইলে বলেন- বিষয়টা আমি জানি তবে দুই বছর আগের বিষয়তো! ঠিক আছে ওনাকে(তহসিলদার প্রফুল্ল কুমার বসু) নতুন করে দিতে বলি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পরবর্তী কার্যদিবসে তালিকা পাঠানোর কথা বলে এবং প্রতিবেদককে আাশ্বস্ত করেন।প্রকৃত সত্য হচ্ছে এ বিষয়ে উর্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ উপেক্ষা করেন,কখন কখনও উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানতে দেন না। তিনি অবৈধ স্থাপনার মালিকের কাছ থেকে বে বইনি সুবিধা গ্রহন করেন।
এবার দৃষ্টি দেওয়া যাক ওড়াকান্দি ভূমি অফিসের দিকে,যেখানে মহান ধর্মগুরু শ্রী শ্রী হরিচাদ ঠাকুরের বাড়ী, অথচ এ ভূমি অফিসকেই দূর্ণীতির আখড়া খানা বানিয়ছেন তহসিলদার মোঃ লোবান হোসেন মিয়া। তিনি নিয়মিতই নির্ধারিত ভূমি কর, খাজনা সাথে নিজের জন্য অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করে ঘুস হিসেবে।
মহেশপুর ভূমি অফিস উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
এখানে তহসিলদার ইমারত হোসেনের যোগসাজসে ভূমি অফিসের নিকটেই সরকারী জমিতে গড়ে উঠছে ব্যক্তি মালিকাধীন মার্কেট।
তিনি তার অফিস সহকারী ইয়াদ আলীকে দিয়ে ভূমি মালিকদের বাড়ী বাড়ী পাঠিয়ে তার ঘুষের টাকা সংগ্রহ করেন।
বে আইনি স্থাপনার তালিকা এবং পূর্বের নির্দেশনার কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ভূমি মোরশেদুল ইসলাম ( সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত সিনিয়ন সহকারী সচিব) বলেন- এরকম কোন কিছু আমাকে তহসিলদার জানায়নি।
Leave a Reply