স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের পাখীমারা গ্রামের প্রধান সড়কের মোড়ে ডাঃপ্রনব বাগচি নামে এক কোয়াক ডাক্তারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিক নামে লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।৮জুন-২০২২ইং রোজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে কয়েকজন রিপোর্টার যায়,কালিয়া উপজেলায় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর তালিকায় ওই প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।তবে এ ব্যবসা এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে নিজের নামের আগে ডাক্তার লিখে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছেন। জানা যায় বাগেরহাটের চুনখোলায় ওই ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার শুধু ’সি’ ক্যাটাগরীর ডায়াগনষ্টিকের লাইসেন্স নিয়ে পাশাপাশি ক্লিনিকের ব্যবসাও করিত।লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০২১সালের ২৮ডিসেম্বর রিনিউ করার জন্য কাগজপত্র সাবমিট করে।সেই সাবমিট করা কাগজের অনুলিপি দেয়ালে টাঙ্গিয়ে কালিয়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামে নিজ বাড়ীতে এটা স্থানান্তর করেছেন কথিত ডাক্তার প্রনব বাগচি।গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে এবং সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের ঘনিষ্ট এক আত্মীয় দিলিপ কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের হুমকির সুরে নিজেকে স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ হিসেবে তিনি চাকুরী করতেন এখন পিআরএলে আছেন এবং তিনি কালিয়ায় ২৯ বছর চাকুরী করেছেন সেই পরিচয় দিয়ে নিউজ করতে নিষেধ করে।বাগেরহাটের লাইসেন্স এ কালিয়ায় ব্যবসা করা যাবে কিনা প্রশ্নে উত্তরে ওই পরিদর্শক বলেন ব্যবসা করা যাবে।কোন আইনে তিনি এটা পেয়েছেন এর কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।পরিশেষে তিনি বলে আপনারা যা পারেন তাই করেন বলে হুমকি দিয়ে ফোনটি কেটে দেয়।সুরক্ষা ডায়াগনষ্টিকের মালিক প্রনব বাগচির কাছে কাগজপত্র চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে আসেন এবং বলেন, সিভিলসার্জনকে নিয়ে আসলে কাগজপত্র দেখাবো।সাংবাদিকদের বলে আপনারা চলে যান।এদিকে একই দিনে সন্ধা ৬টা ২১মিনিটে কথিত ডাঃ প্রনব বাগচি তার ব্যবহৃত ০১৬১৩৪২৫৬০৯ নম্বর থেকে জাতীয় দৈনিক সকালের সময়, আঞ্চলিক দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকার কালিয়া প্রতিনিধি ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের কালিয়া প্রতিনিধিদেরকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলেন সেই সাথে বলেন এলাকাতে প্রবেশ নিষেধ।পাশাপাশি হুমকি ও ভয় প্রদান করে।এবিষয়ে থানায় জিডি করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল মল্লিক বলেন, ৯জুন সকালে তিনি ওই ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে কাগজপত্র আপডেট না করে ব্যবসা পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সাংবাদিকদের উপর চড়াও হুকমি,এলাকাতে প্রবেশ নিষেধ করলেন এক কোয়াক ডাক্তার প্রনব বাগচি।সঠিক তথ্য কোয়াক ডাঃ প্রনব বাগচির নিকট চাইলে দেখাতে অস্বীকার করে এবং ভুয়া একজন অফিসার সাজিয়ে সাংবাদিকদের ভয় দেখায়।পর্যলোচনা করে পাওয়া যায় সঠিক কাগজপত্র নাই,গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।ভদ্রপেশায় নিয়োজিত মানুষ কখনও কাউকে হুমকি দিতে পারে না,বাগেরহাট জেলা থেকে নড়াইল জেলা অথাৎ বিভিন্ন জেলাতে এসে ব্যবসা করে যাচ্ছে কিছু গুন্ডা প্রকুতির মানুষকে ম্যানেজ করে।তদন্ত করলে বেরিয়ে যাবে আসলে সে কি ডাক্তার পেশার লোক নাকি হত্যা মামলার আসামি।এবিষয়টি নিয়ে এলাকাতে তোলপাড় শুরু হয় এবং কালিয়া উপজেলার সচেতন নাগরিক আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।
Leave a Reply