স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলাতে এক মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেনীর একছাত্রীকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়া থানায় ভুক্তভোগীর শুক্রবার (৩ জুন) বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।আসামিরা হলেন-উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের গোলাম রসুল শেখের ছেলে নূর মোহাম্মদ ওরফে ইসলাম শেখ(১৯),মোঃ লাভলু মোল্লার ছেলে আশিক মোল্লা (২০),মোঃ শহিদুল গাজীর ছেলে মোঃ কালু গাজী (২১)এ ঘটনায় কালিয়া থানা পুলিশ ইসলাম শেখ ও আশিক মোল্লা কে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,২৮মে-২০২২ইং প্রতিবেশী আমিন শেখ এর বাড়িতে সুন্নাতি খাৎনা অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগী ও তার মা রাতে ওই বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছিলো।ভুক্তভোগী ওই কিশোরী নিজ বাড়িতে আসার পথে ৩ ধর্ষক কিশোরীর গায়ে থাকা ওড়না ছিনিয়ে নিয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বুড়িখালি নবগঙ্গা নদীর পূর্ব পাশের শন্তোষ প্রামানিকের পতিত জমিতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষক নুর ইসলাম ধর্ষণের ঘটনা মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে ভিডিও ভাইরাল হয়।পরবর্তীতে ঘটনা পুলিশ জানতে পেরে গতকাল ইসলাম শেখ ও আশিক মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনলে তারা ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)মোঃ রতনুজ্জামান জানান, গত ২৮মে শুক্রবার রাত ১১টার সময় উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে গতকাল (২জুন) বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামের মেম্বার থানায় ফোন করলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করি এবং অভিযুক্ত ২ জন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি।এ ঘটনায় তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা সীমা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে।দুই যুবককে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং নড়াইলের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট-এনামুল হক
নড়াইল জেলাতে ধর্ষণ,মাদকদ্রব্য,চাঁদাবাজি,
অপহরণ,হত্যাকান্ড,নির্যাতন,
ক্রাইম কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে।এই বিষয়ের উপর প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য নড়াইলের সচেতন মহল।
Leave a Reply