মোঃ নাজমুল হক
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক (অধ্যক্ষ ও প্রভাষক) দুজনেই নিয়ামতপুরের বাসিন্দা। তারা হলেন
নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (ইসলামিক স্টাডিজ) ড. মীর মোঃ আনোয়ার হোসেন। এবারে শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উদযাপনে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ অধ্যক্ষ ও প্রভাষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর আগে তিনি ২০১৭ সালে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং ২০১৯ সালেও উপজেলা এবং জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি চন্দননগর কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ অবধি উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি উপজেলার চন্দননগর (গণেশপাড়া) গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক ও গৃহিণী কদভানু বেগমের ১ম সন্তান। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই বড়।
শিক্ষা জীবনে তিনি উপজেলার বামইন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে মার্কেটিং বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা জীবন শেষ করে গ্রামে এসে এলাকার কিছু শিক্ষিত ছেলেসহ সেই সময়ের চন্দননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান(সাবেক) খালেকুজ্জামান তোতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর সার্বিক সহযোগিতায় চন্দননগর কলেজটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা খালেকুজ্জামান তোতা এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপিকে। তিনি এলাকার মানুষ জনকে ভালোবেসে সকলের সাথে মিলেমিশে সুস্থ ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন সেই জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
অপর দিকে নওগাঁয় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হয়েছেন মহাদেবপুর উপজেলার চান্দাশ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (ইসলামিক স্টাডিজ) ড. মীর মোঃ আনোয়ার হোসেন। ০৩/০৪/২০০২ খ্রি. হতে তিনি উক্ত কলেজে শিক্ষকতা করে আসছেন ৷ উপজেলা পর্যায়েও তিনি মহাদেবপুরের শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে তাঁকে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তিনি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনার্সসহ এম.এতে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ৷ ২০০৭ খ্রি. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ২২৮তম সভার সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেটের ৪১৪তম সভায় তাঁকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া তিনি বিটিভিরও একজন সম্মানিত আলোচক ৷ জোলার শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে তিনি তাঁর কলেজসহ অন্যান্য সকল কলেজের শ্রেণিতে গবেষণামূলক পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকগণকে উৎসাহ উদ্দীপনা প্রদান করবেন বলে অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন৷
ড. মীর মোঃ আনোয়ার হোসেন নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের চন্দননগর (তালপুকুরিয়া) গ্রামের মৃত মীর কলিমুদ্দীন ও মাতা মৃত কদভানু বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র । সাত ভাই বোনের মধ্যে তিনিই সপ্তম ৷ তাঁর এ অর্জনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হারুনুর রশীদ, উপাধ্যক্ষ মোঃ আঃ মজিদসহ শিক্ষক-কর্মচারী এবং এলাকাবাসী তাঁকে অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন। তিনি বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দেশের সেবা করতে পারেন সেজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন ৷
Leave a Reply