স্টাফ রিপোর্টার।
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলা মল্লিকপাড়ায় ভুয়া চিকিৎসক খন্দকার কবীর হোসেনের অপচিকিৎসার শিকার এক নারী হয় এবং ভুয়া চিকিৎসার কারনে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।কবীরের দেন দরবারে বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও এখন ফাঁস হয়ে গেছে। ওই রোগীর কেমোথেরাপি ছাড়াই ক্যান্সার নিরাময়ে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে ৭০হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছিলেন কবীর।এঘটনায় মৃতের জামাই ছাতিয়ানতলা দক্ষিণপাড়ার মিঠু চাকলাদার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়,মিঠু বলেন আমার শ্বাশুড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হেলা গ্রামের নওয়াব আলীর স্ত্রী সুখজান বেগম(৬৫) ক্যান্সারে আক্রান্ত।তবে হতাশা হয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শের জন্য ফেব্রুয়ারি মাস-২০২২ইং সাল আনুমানিক ৩মাস আগে ছুটে যান ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ার ননী ফল নার্সারির মালিক ডাক্তার পরিচয়দানকারী খন্দকার কবীর হোসেনের নিকট।রোগীর সব কিছু শুনে ভুয়া চিকিৎসক(কবীর) কেমোথেরাপি ছাড়াই ক্যান্সার সেরে যাবে বলে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে ছিলেন।চিকিৎসা জন্য ১লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
মিঠু চাকলাদার আরও জানান, চিকিৎসা নেওয়ার সময় তাকে ৭০হাজার টাকা দেওয়া হয়। ক্যান্সার সেরে গেলে বাকি ৩০হাজার টাকা দিতে হবে। একজন প্রতারক ও ভুয়া হাকিম চিকিৎসক খন্দকার কবীরের কথা মতন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে রেখে কবীরের দেওয়া ওষুধ খাওয়ানো হয়।এরই মাঝে সুখজানের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সর্বশেষ গত ৮রমজান মারা যায়।মোঃ মিঠু চাকলাদার এর অভিযোগ-খন্দকার কবীর হোসেন একজন প্রতারক। চিকিৎসা সেবা নামে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন দীর্ঘদিন।মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার অপচিকিৎসায় আমার শাশুড়ি মারা গেছে।এরকমের দুরদুরান্ত থেকে রোগী নিয়মিত রোগী আসে এই প্রতারকের কাছে,কিছু গাছ লাগিয়েছে বাড়ির সামনে দিয়ে সে বলে এই গাছ দিয়ে ঔষুধ তৈরি করি,আসলে কথাটি সত্য না,মূলত বিভিন্ন গাছের গুড়া যশোর বণোজ ঔষুধ গাছের গুড়া কিনতে পাওয়া যায়,সেখান থেকে কিনে নিজের নামে চালিয়ে যাচ্ছেন।মানুষকে বোকা বানিয়ে কয়েকটি বছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।সাধারন একটি ঘর ছিলো,বর্তমান পাঁচতলা ফাউন্ডেশন করে বিল্ডিং করতেছে প্রতারনা করে।তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলাতে,তবে নিজেকে পরিচয় দেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার।
খন্দকার কবীর হোসেনের কয়েকটি জেলাতে দালাল আছে সে সকল দালালগন রোগি নিয়ে আসে এই ভুয়া প্রতারক কবীর এর কাছে।নেই কোন চিকিৎসক সার্টিফিকেট,ভুয়া কয়েকটি সার্টিফিকেট মানুষকে দেখিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে কবীর।দালালগন রোগী প্রতি ২৫শত টাকা নিচ্ছে।এই ভুয়া চিকিৎসক কবীরের সাথে দালালদের ও বিচার হওয়া উচিত।প্রতারক কবির এর ডান পাশে একটি ক্যামেরা এ স্ট্যান থাকে যে রোগী যাবে বা সাংবাদিক প্রবেশ করলে ক্যামেরা চালু করে।কবীরকে প্রশ্ন করলে বলে এটা আমার নিজস্ব সাংবাদিক।পাশাপাশি কবীর বিদেশে ঔষুধ দিয়ে থাকে ১০হাজার থেকে ২৫হাজার পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
এদিকে নড়াইল জেলার এক রোগীর অভিযোগ পাওয়া যায়, তিনি একজন দালালের চক্রে পড়ে প্রতারক কবির হোসেন এর নিকট যান।ডায়াবেটিকস রোগের জন্য ৩০হাজার টাকা নিয়েছে,তার ডায়াবেটিকস দিন দিন বেড়েই চলছে।রোগীর পরিচয় জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও জাতীয় ক্রাইম রিপোর্টার সাংবাদিক মোঃ উলফাদ শেখ।রোগের কোন সুফল পাননি।নড়াইল জেলার অনেক মানুষ দালালের চক্র পড়ে আর এ্যাড দেখে ছুটে যায় প্রতারক চিকিৎসক খন্দকার কবীর হোসেন এর কাছে।সর্বপ্রথমে ৫হাজার টাকা থেকে ১০হাজার টাকার ঔষুধ হাতে ধরিয়ে দেয়।যা বাজার মূল্যে ১৩শত টাকা মাত্র।যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে দিবে বলে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে যুবকশ্রেনী ও বয়স্ক শ্রেনীর লোকের কাছে নিকট হতে হাজার হাজার টাকা নিয়ে তাদের জীবন শেষ করছে বলে জানান ভুক্তভুগী।চিকিৎসক হিসেবে কোন প্রকার কোর্স নেই বা প্রশিক্ষণ নেই।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় প্রতারক কবীর বাহিরের রোগী বেশি দেখেন, এলাকার রোগী খুবই কম দেখেন।কবীর একজন নেশাগ্রস্ত প্রকৃতির লোক কারন যেখানে এমবিবিএস ডাক্তার বা ডক্টরেট ডিগ্রীধারী সাহস পায় না ক্যান্সার এর রোগী শতভাগ ভালো করবে।একজন সাধারন মাঠের লোক ও নেশাগ্রস্থ লোক ভুয়া ডাক্তার সেজে রোগীদের চিকিৎসা করছে গ্রামের গোপন একটি জায়গাতে।কবির এর চিকিৎসা-ঘরে নেই কোন ঔষুধ,তৈরি করার সরন্জাম,নেই কোন তৈরি করার প্রমান,কিন্তু প্রতারক কবীর দাবি করেন ঔষধি গাছ দিয়ে আমি নিজেই ঔষুধ তৈরি করি।সাংবাদিক গেলে খন্দকার কবির কথা বলতে চান না।কবীর বলে আমি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক আমার গোপালগঞ্জ জেলাতে আরেকটি নার্সারী আছে।তবে সাধারন জনমতের প্রশ্ন এত সম্পদের মালিক কিভাবে হয়েছে? দুদকের উপর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন নাগরিক।প্রতারনা করছে মানুষের সাথে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিদিন।সরকারের নিকট বিচার চেয়ে দাবি করেছেন ভুক্তভুগীগন।
যশোরের মাননীয় সংসদ সদস্য এমপি মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল-প্রতারক খন্দকার কবীরকে আইনের আওয়াতাধীন এনে বিচার করার জন্য।
এদিকে মিঠু চাকলাদার জানান, খন্দকার কবীর হোসেনের চিকিৎসা প্রতারণার বিষয়ে ১৭ এপ্রিল আমি চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছি।প্রয়োজনে প্রতারক কবীরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবো।
এই বিষয়ে খন্দকার কবীর হোসেন মুঠোফোনে জানিয়েছেন,তিনি কোন চিকিৎসক না।ক্যান্সার আক্রান্ত কোন রোগীর চিকিৎসা করেছি মনে পড়ে না।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদার জানান,খন্দকার কবীরের অপচিকিৎসায় ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হাতে পান নাই।অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, খন্দকার কবীরের অপচিকিৎসায় ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু ঘটনা জানা ছিলো না।অবশ্যই খোঁজ নেওয়া হবে।তিনি আরও জানান,শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে ক্যান্সার রোগ নিরাময়ের নামে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৭০হাজার টাকা নেওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক বলে জানান।
Leave a Reply