সোহেল রানা রাজশাহী প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আঃলীগ রাজনীতি থেকে উঠে আশা জনপ্রিয় নেতা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সুনাম ও ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুন্ন করার জন্য । এমপিকে দলের হাইকমান্ডের কাছে ফাঁসাতে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে নিজ দলের আওয়ামী লীগ বিরোধী কিছু বগি নেতা বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে খোদ নিজ দলের কিছু কতিপয় স্বার্থ লোভী জনবিচ্ছিন্ন হওয়া পদপদবী আলা বগি নেতাদের বিরুদ্ধে। এতে করে নিজ দলের নেতা হয়ে এমপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করার বিষয়টি দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ফাঁস হয়ে পড়লে বগি নেতাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্যকর অবস্থা ও নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ উত্তেজনা।
আগামী ১৬ জুন তানোর উপজেলা আঃলীগের সম্মেলন ঘিরে গত ৪ জুন উপজেলা অডিটোরিয়ামে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আর সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি / সম্পাদক সহ স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতা রা। তবে সেই সভার আয়োজন করেছিলেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুলা- আল মামুন তবে বিগত কয়েক বছর থেকে তানোর উপজেলা আঃলীগ রাজনীতির অঙ্গনে দেখা মিলেনি তাদেরকে এমনকি জাতীয় প্রোগ্রাম মিটিং মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না তারা। হটাৎ তাদের কে দেখে তানোর উপজেলা আঃলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং মারমুখী হয়ে পড়ে তবে স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে বিষয়টি ঠান্ডা করেন তানাহলে হয়তো উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাতে বড় ধরনের লাঞ্চিত হতেন সভাপতি /সম্পাদক পরে অবস্থা বুঝে সভা থেকে চলে জান গোলাম রাব্বানী ও মামুন। এতে স্হানীয় এমপি ফারুক চৌধুরীর কোন হাত ছিলো না আর এটায় সত্যি।
বর্তমান সভাপতি / সম্পাদকের উপর তৃণমূল নেতাকর্মীর কেন এমন আচারণ উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান,তানোর উপজেলার সকল প্রকার দলিয় নির্বাচনে নৌকার বি পক্ষে কাজ করে যাচ্ছিলেন তারা দুজন এমনকি ২০০৯ সালে সরাসরি আঃলীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর বিপক্ষে গিয়ে চাকা (মার্কা) নিয়ে ভোট করেছিলেন বর্তমান সম্পাদক আব্দুলা আল মামুন
ফলে পরাজয় হয়েছিলো গোলাম রাব্বানীর শুধু তাই না তিনিও গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতিক চেয়ে ছিলেন এবং ওয়াদা করেছিলেন যে নৌকা পাবে তার হয়ে তথা নৌকার হয়ে নির্বাচনে মাঠে কাজ করবেন। জনপ্রিয়তা না থাকায় তিনি নৌকা প্রতিক পান্নি। তার পর থেকেই তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে সরে গিয়েছেন। এমনকি তার নিজ ওয়ার্ডে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি করেছিলেন তিনি যা এর আগে কোন নির্বাচনে হয়নি এবং মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মাঠে দেখা মিলেনি তার।
উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকদের কাছে বর্তমান তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর কথা জানতে চাইলে তারা বলেন,তিনি শত বছরের রাজনীতি পরিবারের সন্তান বলে নিজেকে পরিবেশন করেন তিনিতো এক ধাপ এগিয়ে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী -১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী কে তৃতীয়বারের মতো আ”লীগ থেকে দলীয় নৌকা প্রতিক দেন। তিনিও দলীয় ওয়াদা ভঙ্গ করে আ”লীগ সংগঠন থেকে দুরে সরে ছিলেন এমনকি উপজেলা পরিষদ ও মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে তো দুরের কথা উল্টো আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান(জক) ও নিজের ছোট্ট ভাই শরিফুল ইসলাম (হাতুড়ী) মার্কার পক্ষে পুরা সেন্টার দিয়েছেন তিনি ও মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে নিজ কেন্দ্রে..ই আ”লীগের নির্রাচনী অফিস পুড়ানো হয়েছে এবং নিজের কেন্দ্রে..ই নৌকার পরাজয় হয়েছে।
আবার তিনি ইউপি নির্বাচনে তানোর উপজেলার ৬ টি ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মোটরসাইকেল প্রতীক দিয়ে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ছিলেন এমনকি তার ছোট্ট ভাই কে আবারো মোটরসাইকেল দিয়ে পাঁচন্দর ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন।
এছাড়াও যেকোন সময় আক্যমা বগি নেতাদের দিতে পারে গণধাওয়া ও গণপিটুনি বলেও তৃণমূল নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন বইছে।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর জনপ্রিয়তা দেখে দিশেহারা হয়ে এইসব বগি আওয়াজ তুলে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে পদপদবী হারানোর ভয়ে একটি কুচক্রী বগি সিন্ডিকেট বাহিনী যাদের কাজি হচ্ছে নৌকার বিপক্ষে তথা এমপির বিপক্ষে থাকা কিন্তু তারা ভুলে গেলে হবেনা যে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী কোন পরিবারের সন্তান, সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান দেশের আইকন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন।
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনীতির মাঠে দ্রুত বিস্তার দেখে তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন, পরবর্তীতে তাকে দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন।
Leave a Reply