সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেম, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মুসলমানদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক রাহবার, শাইখূল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রাহ.কে পরিকল্পিতভাবে তিলেতিলে হত্যা করেছে তারা। বর্তমানে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় কাপুরুষের ন্যায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের সাথে প্রশাসনের ১টি মহলের সাথে যোগসাজস রয়েছে। তারা প্রশাসনের ঐ মহলটির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়াভাবে বর্তমানে সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য পরাজিত শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার প্রত্যয়ে ইতোমধ্যে হাটহাজারী এবং চট্টগ্রাম শহরের ১টি বাসায় মিলিত হয়েছে। সাবেক একজন এমপির ঐ বাসায় হেফাজতে ইসলাম, জামাত, বিএনপিসহ আরো কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৈঠকের কথা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তারা যে কোন মূল্যে সরকার বিরোধী ঐক্য ও জনগনের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিসহ সরকারের ব্যর্থতাকে জনসম্মুখে তুলে ধরে আগামীতে সরকার বড় ধরনের ঐক্য গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তারা প্রাথমিকভাবে হাটহাজারী মাদ্রাসাকে কওমী শিক্ষাবোর্ড থেকে বেরিয়ে যেতে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) এর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিষোদগার করে যাচ্ছে। হেফাজত আমীর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, তাহার মেয়ের জামাতা, জামাত নেতা হাবিবুল্লাহ আযাদী এবং তার নাতনী জামাই, এক কালের তোখোড় শিবির ক্যাডার আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে হেফাজতের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে।
বর্তমান হাটহাজারী মাদ্রাসার বির্তকিত ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, মৌলভী ইয়াহিয়ার পুত্র জুনাইদের বাসায় উত্তর জেলা জামাতের নেতৃবৃন্দের সাথে কয়েক দফা বৈঠকের কথা তিনি স্বীকার করেছেন।
উল্ল্যেখ্য যে, এদুজনের ঘৃণ্য পরিকল্পনায় হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ কওমী অঙ্গনে হেফাজতে ইসলাম আজ দ্বিধা-বিভক্ত, শাইখূল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রাহ. এর খুনীদের তালিকায় তাদের নাম থাকা সত্বেও তারা দেশ-বিদেশে ভ্রমণ ও যে কোন মহলে বিনা বাধায় চলাফেরা করে যাচ্ছে। চার্জশীটভুক্ত আসামীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের লাগাম টেনে ধরা না হলে আগামীতে জাতিকে আরো অনেক কড়া মূল্য দিতে হবে।
Leave a Reply