স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইলের লোহাগড়ায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ২৩কোটি ১৩লাখ ২হাজার ৬৪৮টাকা। ২৫টি প্যাকেজে মোট ১৬৪টি ঘর ১৬৪জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার দেবেন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪লাখ ১০হাজার ৩৮২টাকা।সরকারের এধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
গত ২৮-২০২২ইং এপ্রিল পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত দরপত্র আহব্বান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আজগর আলী। ২৫টি টেন্ডার প্যাকেজের প্রতিটি দরপত্র দলিলের মুল্য ধরা হয় ২হাজার টাকা। ৬০দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্তে ৯০টি দরপত্র ক্রয় করে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে ১২মে নির্দিষ্ট সময়ে ইউএনও’র কার্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখায় জমা পড়ে ৮১টি।অদৃশ্য কারনে বিক্রয়কৃত বাকি ৯টি দরপত্র জমা দেননি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল হোসেনের সাথে। দরপত্র জমা না দেওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন এই মুহুর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না।এমনকি প্রধান মন্ত্রীর উপহার পাওয়ার তালিকায় থাকা ১৬৪জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা চাইলেও তিনি তথ্য গোপন করে বলেন, ওই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তার কার্যালয়ে নেই।যে তালিকা আছে সেটা তার মোবাইলে রয়েছে।এখন প্রিন্ট হচ্ছে না।
যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে তাদের চুড়ান্ত তালিকা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়েও পাওয়া যায়নি। চুড়ান্ত তালিকার বিষয়ে কথা হয়েছে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.শামীম রেজার সাথে।তিনি বলেন,এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।পিআইও,র দপ্তরে এ তালিকা রয়েছে।
কথা হয় উপকার ভোগীদের তালিকায় থাকা কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, ঘরের কাজ শুরু করার আগেই কথিত কিছু ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা কর্মী।ফলে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সপ্ন বাস্তবায়নে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আজগর আলী বলেন,বর্তমান সরকারের একটি মহৎ পরিকল্পনা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প।এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উপকারভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ফিরে পাবে নিরাপদ ও মাথা গোজার ঠাঁই।
এই নিউজের তথ্যসূত্র একজন রিপোর্টারের সংগ্রহ মতে প্রকাশিত হল।আরও বিস্তারিত পরবর্তী নিউজে আসছে।
Leave a Reply