সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিরন্টী ইউনিয়নের পাকুড়ডাঙা গ্রামে। এবিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ করেছেন পাকুড়ডাঙা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী তানজিলা।
তানজিলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানজিলা তার ছেলেকে সাথে নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১০ টার দিকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম তাঁতইরে তাফসীর শুনতে যান। তার স্বামী আব্দুর রহমান মাঠে যান শষ্যক্ষেতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য। তাফসীর শুনে আনুমানিক ১ ঘন্টা পরে ছেলেকে নিয়ে বাড়ী ফেরেন তানজিলা। এসময় বাড়ীর পাশে পানির ট্যাপে পা ধোয়ার জন্য যায়। এসময় তার শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে আলো বের হতে দেখে সেদিকে এগিয়ে যায়। পরে জানালা ভাঙা দেখতে পায়। এমতাবস্থায় ঘর থেকে স্থানীয় মৃত পেসকার আলীর ছেলে বেলালকে জানালা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালাতে দেখে। তানজিলা বেলালের শার্ট টেনে ধরে। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পরে বেলাল তার হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়। এসময় বেলালের হাতে থাকা একটি প্লাস পড়ে যায়। সেই প্লাসটি স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মানিকুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করেন তারা। পরে ঘরে প্রবেশ করে দেখে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে এবং কাগজ পত্রাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসময় তার স্বামী আব্দুর রহমানকে ফোন করে ডাকেন। পরবর্তী সময়ে তারা দেখেন, ঘর থেকে ২ টা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের বালা, ৮ আনা ওজনের ২ টা স্বর্ণের আংটি, ২ আনা ওজনের স্বর্ণের পান ১ টা, ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের পান তাবিজ একটি, ৪ ভরি ওজনের দুই জোড়া চান্দির নুপুর, ইসলামী ব্যাংকের ১৭ পাতার ফাঁকা চেক ও নগদ ২ লক্ষ ৬ হাজার ৭শ’ টাকা চুরি হয়ে গেছে। পরের দিন তানজিলা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বেলালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এটা আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি এধরণের কোন কাজ করিনি। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে মিথ্যা ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পুলিশ মানিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার দিন আমার তাফসীর ডিউটি ছিলো। ঘটনা জানতে পারলে স্থানীয় লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে তানজিলার বাড়ীতে গেলে আমি জানালা ভাঙা দেখতে পাই। তার সাথে ঘরে কাগজ পত্রাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখি। তারা সকলের সাক্ষাতে একটি প্লাস আমার হাতে জমা দিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে বেলালের সম্পৃক্ততা কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, এঘটনার সাথে বেলাল আসলে জড়িত কি না আমি জানিনা। তবে বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনা অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, আমরা এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান রয়েছে।
Leave a Reply