মোঃ নাজমুল হক
নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় এক মাস ধরে এক গৃহবধূকে ঘরছাড়া করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম রাবেয়া খাতুন (২৬)। তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিজলী গ্রামের গোলাম নবীর মেয়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ তাঁর স্বামী শহিদুল ইসলাম(৩০), ননদ দুলি বেগম ও তাঁর স্বামী(ননদু) আজিমুদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৭ বছর আগে রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে মান্দা উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শহিদুল ইসলামের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হয় ভুক্তভোগী গৃহবধূ রাবেয়া ও ভুক্তভোগীর বাবা গোলাম নবীকে। যৌতুকের জন্য ভুক্তভোগী গৃহবধূ রাবেয়াকে চাপ দিলে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর বাবা গোলাম নবী মেয়ে জামাই শহিদুলকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়। পরে আবারও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীসহ ননদ ও ননদু। ওই গৃহবধূর বাবার পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী রাবেয়া ও শহিদুল ইসলামের সোয়াইব ইসলাম নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
রাবেয়া খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হয়। যৌতুকের জন্য চাপ দিলে রাবেয়া তার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা স্বামীকে নিয়ে দেয়। আরও বলেন, আমাকে সন্দেহের চোখে দেখায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এখন নতুন করে তাঁর ননদ ও ননদের স্বামীর প্ররোচনায় তার স্বামী আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। সেই সঙ্গে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। টাকা নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসতে বলে।
ভুক্তভোগী রাবেয়ার বাবা গোলাম নবী জানান, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে এর আগে জামাইকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমি টেইলার্সের দোকানে কাজ করি। কিছুদিন পর আবারও টাকা চাইলে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মেয়েকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
রাবেয়া খাতুনের স্বামী শহিদুল ইসলাম সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply